ত্রিশাল উপজেলার উল্লেখযোগ্য নদ-নদী গুলোর মধ্যে রয়েছে সুতিয়া, খিরু, পাগারিয়া, বানার, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ প্রভৃতি। নদ-নদীগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকেনা বললেই চলে। বর্ষাকালে নদ-নদী গুলোতে পানিতে ভরে উঠে তখন সেখানে দেশী প্রজাতির বেশ কিছু মাছ পাওয়া যায়।
খিরো নদী
খিরো (ত্রিশাল) বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ময়মনসিংহ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৪৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক খিরো নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ১০।
খিরো নদীটি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়নে প্রবহমান বানার নদী হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা একই জেলার ত্রিশাল উপজেলার আমিরবাড়ি ইউনিয়নে পুনর্বার বানার নদীর সাথে মিলিত হয়ে খিরো নাম ধারণ করে গফরগাঁও উপজেলার যশোরা ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে সুতিয়া নদীতে নিপতিত হয়েছে। এই নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে না। তবে জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে নদীটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। পলির প্রভাবে নদীর তলদেশ ক্রমশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে, স্থানীয় লোকজন কর্তৃক নদীর দুই পাশ ভরাট করায় এর প্রশস্ততা সংকুচিত হচ্ছে এবং নদীর গভীরতা হ্রাস পাচ্ছে।
সুতিয়া নদী বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলা, ত্রিশাল ও গফরগাঁও উপজেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৮ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬১ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক সুতিয়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ৫৮.
সুতিয়া নদী অববাহিকার আয়তন ৩৬ বর্গকিলোমিটার। নদীটি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বের হয়ে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার বানার নদীতে এই নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে না। মৌসুমি প্রকৃতির এই নদীতে অক্টোবর হতে জুন মাস অবধি প্রবাহহীন অবস্থা থাকে। তবে জুলাই আগস্টের বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বেশি হয়। এই সময় নদীতে পানির গভীরতা ৪ মিটারে পৌঁছায়। এই নদীতে জোয়ারভাটা খেলে না। নদীটিতে সাধারণত বন্যা হয় না.
পাগারিয়া-শিলা নদী বা পাগারিয়া নদী বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ময়মনসিংহ সদর ত্রিশাল উপজেলার একটি নদী।নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪১ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস