Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ত্রিশালের দর্শনীয় স্থান
বিস্তারিত
ক্রম দর্শনীয় স্থান বর্ণনা যাতায়াত ব্যাবস্থা
নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র,  দারোগা বাড়ী, কাজীর শিমলা, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাল্য স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের কাজির শিমলায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছে নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র । নজরুল ইনস্টিটিউটের অধীন স্মৃতিকেন্দ্র ২০০৮ সালে উদ্বোধন করা হয়। স্মৃতিকেন্দ্র  রয়েছে জাতীয় কবির ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র, হসতলিপির প্রতিলিপি, ফটোগ্রাফা, কবির স্লেহধন্য ও সমকালীন  শিল্পীদের গাওয়া নজরুল সংগীতের অডিও সিডি, অডিও ও ভিসিডি ক্যাসেট। তাছাড়াও রয়েছে নজরুল রচনাবলী, রবীন্দ্র রচনাবলীসহ বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত লেখক-কবিদের রচনাবলীসহ জীবনী গ্রন্থমালা। এ ধরণের প্রায় ৭ হাজার গ্রন্থমালা দিয়ে সজ্জিত স্মৃতিকেন্দ্র পাঠকক্ষ। আরও রয়েছে ২০০ আসন বিশিষ্ট মিলনায়তন, দু’টি গেস্টরুম। মিলনায়তন ও সেমিনার কক্ষে নিয়মিত সৃজনশীল অনুষ্ঠানাদি ও সেমিনার (নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে) অনুষ্ঠিত হয়। সরকারী পর্যায়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতি বছর স্মৃতিকেন্দ্রে জাতীয় পর্যায়ে  নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়। তাছাড়াও ময়মনসিংহ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এ স্থানে প্রতিমাসে একটি করে সেমিনারের আয়োজন করে থাকে । উল্লেখ্য, নজরুল স্মৃতিকেন্দ্রকে ২০০৩ সালের জানুয়ারী মাস থেকে পর্যটনের আওতায় আনা হয়। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী অসংখ্য নজরুল অনুরাগঢ স্মৃতিকেন্দ্রঢি দেখতে আসেন । ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশাল অংশের কাজীর শিমলা নামক স্থান হতে মাত্র ১.৫ কিঃমিঃ পশ্চিমে নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র, দারোগা বাড়ী, কাজীর শিমলা, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ অবস্থিত।
নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র, বিচুতিয়া ব্যাপারী বাড়ী, নামাপাড়া, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ বাংলা সাহিত্যের অসামান্য প্রতিভার অধিকারী মহান কবি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কৈশোর কালের নিছু সময় কেটেছে এখানে। ১৯১৪ সালের প্রথম দিকে বর্ধমানের আসানসোলের রুটির দোকানে কাজ করার সময় আমাদের প্রিয় কবিকে ত্রিশালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে আবস্থিত স্মৃতিকেন্দ্রে বিচুতিয়া ব্যাপারী-র বাড়ীতে-ই কবি জায়গীর থাকতেন। এখান থেকেই কবি দরিরামপুর হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবন প্রথম স্থান অধিকার করেন। কবি যে ঘরটিতে থাকতেন সেই কুঁড়ে ঘরটি আজ আর নেই। পরবর্তীতে সংস্কৃতি বিষয়ক মণত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সেই স্থানটিতে কবির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে। এছাড়া এখানে কবির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য একটি যাদুঘর, লাইব্রেরী এবং অডিটরিয়াম নির্মান করা হয়েছে। যাদুঘরে কবির স্বহস্তে লিখিত বেশ কিছু দুর্লভ পান্ডুলিপি,কবির ব্যবহৃত কিছু দুস্প্রাপ্য সামগ্রী এবং কবির কর্মময় জীবনের বেশ কিছু দুর্লভ আলোকচিত্র সরক্ষিত রয়েছে। এই স্থানটি শুধুমাত্র নজরুল গবেষক-ই নয় সাধারণ মানুষের জন্য ও একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। দেশ বিদেশের খ্যাতিমান নজরুল গবেষক,শিল্পীগণ এবং তদুপরি দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ এই কেন্দ্রটি ভ্রমনে এসে বেশ কিছু গাছের চারা রোপন করেছেন। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী র এখানে আগমন ঘটে। ত্রিশাল বাস স্ট্যান্ড থেকে ০৪ কিঃমিঃ পশ্চিমে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। সেখান থেকে মাত্র আধা কিঃমিঃ পশ্চিমেই নজরুল স্মৃতি বিজড়িত নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র, বিচুতিয়া ব্যাপারী বাড়ী, নামাপাড়া, ত্রিশাল, ময়মনসিংহে অবস্থিত। সড়ক যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। ত্রিশাল বাস স্ট্যান্ড থেকে রিকশা যোগে সহজেই এখানে আসা যায়।
নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র ইসলাম, কাজী নজরুল (১৮৯৯-১৯৭৬)  বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। নজরুল ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ  (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কাজী ফকির আহমদ ছিলেন মসজিদের  ইমাম ও মাযারের খাদেম। নজরুলের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। ১৯০৮ সালে পিতার মৃত্যু হলে নজরুল পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য হাজী পালোয়ানের মাযারের সেবক এবং মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করেন। তিনি গ্রামের  মকতব থেকে নিম্ন প্রাথমিক পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন। শৈশবের এ শিক্ষা ও শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে নজরুল অল্পবয়সেই ইসলাম ধর্মের মৌলিক আচার-অনুষ্ঠান, যেমন পবিত্র  কুরআন পাঠ,  নামায, রোযা,  হজ্জ,  যাকাত প্রভৃতি বিষয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেন। পরবর্তী জীবনে বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতে ইসলামি ঐতিহ্যের রূপায়ণে ওই অভিজ্ঞতা সহায়ক হয়েছিল। এটি ময়মনসিংহ শহর হতে প্রায় ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে, বালিপাড়া রোডের বিপরীত পার্শ্বে ত্রিশাল থানার সামনের রাস্তা দিয়ে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের ত্রিশাল ওভারব্রিজ এর সামনের মোড় হতে সিএনজি, অটোরিক্সা, রিক্সাসহ লোকাল যানবাহন দ্বারা যাওয়া যায়। ঢাকা হতে এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে আসতে হলে ত্রিশাল ফায়ার স্টেশন পার হয়ে টিউলিপ রেস্টুরেন্ট এর পূর্বেই পশ্চিম দিকের রাস্তা দিয়ে ইউনিভার্সিটি রোড হয়ে আসতে হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তার স্মরণে কবি নজরুলের স্মৃতি বিজরিত বটতলাতে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয় । কবি নজরুল ছোট বেলায় এই বটগাছের নিচে বসে বাঁশি বাজাতেন। কবি ত্রিশালের দরিরামপুর হাই স্কুলে পড়াশুনা করতেন ।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশাল উপজেলার নামাপাড়া এলাকায় অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।

এটি ময়মনসিংহ শহর হতে প্রায় ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে, বালিপাড়া রোডের বিপরীত পার্শ্বে ত্রিশাল থানার সামনের রাস্তা দিয়ে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের ত্রিশাল ওভারব্রিজ এর সামনের মোড় হতে সিএনজি, অটোরিক্সা, রিক্সাসহ লোকাল যানবাহন দ্বারা যাওয়া যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা হতে এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার।ঢাকা থেকে আসতে হলে ত্রিশাল ফায়ার স্টেশন পার হয়ে টিউলিপ রেস্টুরেন্ট এর পূর্বেই পশ্চিম দিকের রাস্তা দিয়ে ইউনিভার্সিটি রোড হয়ে আসতে হবে। কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজরিত বটতলা ঘেঁষে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম ১৯৯০-এর দশক থেকে বেসরকারি খাতে ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. আশরাফ সিদ্দিকী, সহসভাপতি অধ্যক্ষ হামিদা আলী এবং কোষাধ্যক্ষ বদিউজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দুই ধরনের সাহায্যদাতা সংগ্রহ করে। এক অর্থদাতা, দুই জমিদাতা। অর্থদাতাদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তত্কালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফ, বেশকিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, চিকিৎসক এবং বিদ্যানুরাগী।
এটি ময়মনসিংহ শহর হতে প্রায় ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে, বালিপাড়া রোডের বিপরীত পার্শ্বে ত্রিশাল থানার সামনের রাস্তা দিয়ে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের ত্রিশাল ওভারব্রিজ এর সামনের মোড় হতে সিএনজি, অটোরিক্সা, রিক্সাসহ লোকাল যানবাহন দ্বারা যাওয়া যায়। ঢাকা হতে এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে আসতে হলে ত্রিশাল ফায়ার স্টেশন পার হয়ে টিউলিপ রেস্টুরেন্ট এর পূর্বেই পশ্চিম দিকের রাস্তা দিয়ে ইউনিভার্সিটি রোড হয়ে আসতে হবে। কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজরিত বটতলা ঘেঁষে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত।